• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কুষ্টিয়ায় প্রচন্ড চাপের মুখে সাময়িক গাছ কাঁটা বন্ধ রেখে, সরে এসেছে বন বিভাগ

  • ''
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ায় প্রচন্ড চাপের মুখে সাময়িক গাছ কাঁটা বন্ধ রেখে, সরে এসেছে বন বিভাগ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত রাস্তার পাশের ৩ হাজার গাছ কাটবে বন বিভাগ। গাছ কাটার জন্য গাছের গাঁয়ে নাম্বারিং করে দরপত্র সম্পন্ন করেছে তারা। তবে, গাছ না কাটার দাবি তােলে স্থানীয় জনগণ। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,‘গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই।’ এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার পত্ক্টা হবে ৩ হাজার গাছ,বন বিভাগ বলছে ‘গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কুষ্টিয়ার বন বিভাগের নামে সংবাদ হওয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয়রা সী সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা গাছ না কাটার দাবি তোলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও সরব ভূমিকা পালন করেন। এতে চাপের মুখে সমায়িকভাবে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেক সরে এসেছেন বন বিভাগ। তবে টেন্ডার হবার পর গাছ কাটা স্থগিত করার সুযোগ নেই।

তীব্র তাপপ্রাবাহের পর পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র। তিনি বলেন,এটা সমাজিক বনায়নের অংশ। টেন্ডার ও ঠিকাদার নিয়োগ হবার পর স্থগিত করার ক্ষমতা আমাদের নেই। বর্তমানে প্রচন্ড তাপপ্রবাহের করণে আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে নেয়া হবে।

এই কর্মকর্তা আরো বলেন,গাছ কাটার পর সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুনরায় গাছ লাগানো হবে। তবে এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি পরিবেশ গবেষকরা। গবেষক গেৌতম কুমার রায় মনে করেন সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে দীর্ঘমেয়াদি বৃক্ষ রোপণ করেত হবে। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গাজী মাহাবুব রহমান বলেন,গাছ কাটার বা বিক্রির পাঁচ বছর আগে থেকে নতুন গাছ রোপণের পরিকল্পনা নিতে হবে। তাহলে পুরাতন গাছ কাটার সময় নতুন লাগানাে গাছগুলাে পরিবশের ভারসাম্য ঠিক রাখবে। জানা গেছে,কুমারখালীর লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত পাউবোর জিকে খাল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে।

সড়কে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পূর্বে কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করেছিল উপজেলা বনবিভাগ। দরপত্রের মাধ্যমে ২০২৩ সালে যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। চলতি বছরেও ওই সড়কের লাহিনীপাড়া থেকে বাঁধবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটা হয়েছে।

আরো জানা গেছে, সম্প্রতি বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত আরো তিন কিলোমিটার সড়কের কয়েক হাজার গাছ কাটার জন্য গাছের গাঁয়ে নাম্বারিং করে দরপত্র সম্পন্ন করেছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা। উপজেলা বন বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আর্থসামাজিক ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বন বিভাগ। তারা প্রথমে স্থানীয়দের নিয়ে এলাকাভিত্তিক সমিতি গঠন করে। পরে বিভিন্ন সড়কের ধারে জ্বালানি কাঠের গাছের চারা রোপণ করে।

গাছ দেখাশোনা করেন সমিতির সদস্যরা। গাছের বয়স যখন ১০ বছর পূর্ণ হয়, তখন গাছ কাটা ও বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বন বিভাগ। গাছ বিক্রির টাকা পান সমিতির সদস্যরা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এবং বন বিভাগ ও সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads